“চর্বি , মেদ ভুরি নিয়ে চিন্তিত ? একটু সচেতন হউন “

“চর্বি , মেদ ভুরি নিয়ে চিন্তিত ? একটু সচেতন হউন “

Size
Price:

Read more

চর্বি , মেদ ভুরি নিয়ে চিন্তিত ?






আজকাল পেটে মেদ জমে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু বয়স হলে অনেকেই এ সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার এ রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। কিন্তু অর্ণব সরকার নামে এক চিকিৎসক বলছেন, এ রোগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই পেটের চর্বি ধ্বংস করা সম্ভব। পেটের চর্বি কমানোর উপায় হিসাবে ডাক্তার অর্ণব নিয়মিত ব্যায়াম উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ১ ঘন্টা সময় জিমে ব্যয় করলেই মিলবে ফল। এছাড়া কিছু সময় খেলাধুলা বা এখানে সেখানে ছুটাছুটি করে বেড়ালে তো কথাই নেই। তবে অলস সময় কাটানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। ঘুমের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দিনে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে ৬ ঘন্টার কম ঘুমানো যাবে না। এ ব্যতয় ঘটলে শরীরে চর্বি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকে। খাবারের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, আপনি চর্বিমুক্ত মাংস, শাকসব্জি এবং কাঁচা বাদাম বেশি করে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু চর্বি বা তেল জাতীয় খাদ্যের পাশাপাশি মিষ্টিজাতীয় খাদ্য পরিহার করাই ভালো। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন আপনাকে কমপক্ষে ২ লিটার পানি খেতে হবে। তানাহলে আপনি শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়বেন। আপনি যদি নিয়মিত এসব পরামর্শ মেনে চলেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার পেটের চর্বি ধ্বংস করা সম্ভব।

পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। শরীরে এ অংশের মেদের কারণে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হার্টের মারাত্মক সমস্যা পযন্ত হতে পারে।
তাহলে কি করবেন?

শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়না। খাবার দাবারেও সতর্ক থাকতে হবে। খাবার সতর্কতা এবং শরীরের বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম আপনার পেটের চর্বিকে কমিয়ে দিবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের চর্বি জমা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে।


খাবারে সতর্কতা:

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন।
শরবতটি খাওয়ার পর দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভাল ফল পাবেন। তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমানোর প্রক্রিয়িাটি দ্বিগুন গতিতে হবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
সকালের নাশতাতে অন্য খাবারের কম খেয়ে একবাটি করে ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। পানি শরিরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর সব কিছু শরীর থেকে বের করে দেয়। সেজন্য সকল ডাক্তারদের পরামর্শ বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
ভাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আটার তৈরি খাবার বেশি খেলে অনেক উপকার পাবেন।
খাবার রান্না করার সময় দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করুন।এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
চিনি জাতীয় খাবার শরীরে বিশেষ করে পেট ও উরুতে চর্বি জমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুতরাং চর্বি থেকে বাঁচতে হলে এ জাতীয় খাবারের লোভ সংবরণ করতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি, আমড়া, চালতা খেতে হবে।
চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এবং সফট ড্রিংকস (কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি) খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। একদমই না খেলে আরও ভাল হয়।


উপযুক্ত ব্যায়াম:

বেলি স্ট্রোক পেশীর আকৃতি সুন্দর করলেও পেটের মেদ কমাতে খুব একটা কাজে দেয় না। পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।

প্রতিদিন ৪০-৪৫ মিনিটের জগিং রক্তে চলমান ফ্যাটকে ধ্বংস করে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করে। তবে প্রথমদিনেই ৪০-৪৫ মিনিটের জগিং করলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে জগিংয়ের সময় বাড়াতে পারেন। অর্থাৎ প্রথমদিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে করে সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন। যখন লক্ষ্য করবেন, শরীরে কোন সমস্যা হচ্ছে না তখন থেকে প্রতিদিন ১ঘন্টা করে ব্যায়াম করতে পারেন।
আর যারা  জগিং বা ব্যায়াম কোনটাই করতে পারবেন না, তাদের জন্য  টিয়েন্স নিয়ে এলো ব্লাড সার্কুলেটরি ম্যাসেজার মেশিন। যা শরীরথেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।টক্সিন বা বিষক্রিয়া অপসারন করে।ভাল রক্ত সঞ্চালনও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাস্থ্য ভাল রাখে।বি সি এম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।ওজন কমায় এবং ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়ায়।ল্যাকটিন এসিডও ইউরিক এসিড বের করে দেয়।ইন এবং ইয়াং এর ভারসাম্য রক্ষা করে।কোষসমূহপর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে।চ্যানেল ও শিরা ধমনীর প্রতিবন্ধকতা দূর করে।বিভিন্নধরনের বাতের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা,শরীরের জোরায় জোরায় ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করে,এবং অনিদ্রা দূর করে।মাথা ব্যথা,মাথা ধরা দূর করে।উচ্চরক্তচাপ কমাতে চমৎকার সহায়ক যন্ত্র।


যাদের পেটে এখনও মেদ নেই তাদের জন্য করনীয়ঃ


নিয়মিত পরিকল্পনামাফিক ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করলে শুধু পেটের মেদই না, সারা দেহের মেদ কমে গিয়ে সুন্দর ফিগার তৈরি হবে এবং সাথে সাথে সুন্দর ও সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন।

প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম করে ১০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটুন।
চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এবং সফট ড্রিংকস না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে আঁশ জাতীয় খাদ্য রাখুন।
বেশি বেশি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

Contact Form

Name

Email *

Message *